Facebook
Google+
YouTube
Flickr
Instagram
Pinterest
আমাদের বাংলাদেশ
  • Home
  • About
  • Historical Place
  • Tourist Place
  • Farmer
  • Educational

পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার

January 9, 2017AmaderBangladeshTourist PlaceNo Comments
কক্সবাজার, বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, অরণ্য রঙিন শঙ্খ শেল, রামুর প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার এবং ম্যাজেস্টিক সাগর সাইড রেস্টুরেন্ট এ টাটকা সি ফুড ডাইনিং এ ছাড়া সন্ধ্যার সময় কক্সবাজারে সূর্যাস্তের সৌন্দর্য এ রকম আরও অনেক অবিস্মরণীয় মহিমাম্বিত দৃশ্য আছে যা আপনাকে বিমোহিত করবে এই কক্সবাজার।
পৃথীবির দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। প্রতি বছর আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় উভয় থেকে লাখো পর্যটকের কক্সবাজারে সমাগত হয় কক্সবাজারে সমুদ্র দর্শনের জন্য। কক্সবাজারের সমুদ্র তীর প্রায় ১২০ কিমি দীর্ঘ।
 
একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা জন্য কক্সবাজার যান।
কক্সবাজার পর্যটন কেন্দ্রসমূহ:
কক্সবাজারের চারপাশে  এরকম অনেক আকর্ষণের স্থান আছে যা পর্যটকে আকর্ষক করে। যেখানে আপনি খুব সহজে যাতায়াত করতে পারেন।
সৈকত :

কক্সাবাজারের তিনটি সৈকত মোটামটি বিখ্যাত। লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী বীচ। কলাতলী বীচে ভিড় তুলনামূলক কম থাকে আর সবচেেয়ে বেশী ভিড় থাকে সুগন্ধায়। সময় নিয়ে তিনটা বীচে হেটে দেখতে পারেন। গোসল করলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন ভাটার সময় বা লাল পতাকা দেয়া অবস্থায় পানিতে নামবেননা। বীচে চেয়ার ভাড়া পাওয়া যায় ৫০-৬০ টাকা ঘন্টা। একই ভাড়ায় রাবার টিউবও পাবেন।

বার্মিজ মার্কেট :

শহরের বার্মিজ মার্কেট পর্যটকদের একটি প্রিয় গন্তব্য। এখানে বার্মা এবং চায়না (!) থেকে আসা অনেক কিছু পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের আচার, কাপড় চোপড়, গিফট আইটেম।
হিমছড়ি ঃ
হিমছড়ি জলপ্রপাত  প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এটা প্রায় 8 কিমি কক্সবাজার দক্ষিণে অবস্থিত। শীতকালে শুষ্ক মৌসুমে জলপ্রপাত হ্রাস পায় কিন্তু বর্ষাকালে এটি কল্পিত হয়। এ ছাড়া হিমছড়িতে আরও আছে পাহাড়ি সৌন্দর্যের মনোরম বৈচিত্র্য এবং সাথে পাবেন একটি অ্যাডভেঞ্চারের চরম অনুভূতি। হিমছড়ি একটি সৈকত ড্রাইভ ছাড়াও একটি বহিরাগত অভিজ্ঞতা।
ইনানি বিচ :
ইনানি বিচের চারিদিকে কোরাল আর সঙ্গে একটি আদিম পাথুরে সৈকত। এটা কক্সবাজারের পাহাড় ও বনাঞ্চল সীমানায় হয়ে  শুধুমাত্র ৩২ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত।এছাড়া হিমছড়ির মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যেতে পারে।
রামু :
কক্সবাজার থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রাম এবং রামু একটি রূপক বৌদ্ধ মন্দির  । এটা প্রধান সড়ক চট্টগ্রামে নেতৃস্থানীয় থেকে প্রবেশযোগ্য। সোনা, ব্রোঞ্জ ও প্যাগোডা ভিতরে মূল্যবান পাথর দিয়ে বসানো অন্যান্য ধাতুর মধ্যে বুদ্ধ মূর্তি নির্মিত।এছাড়া আছে ভুবন শান্তি ১০০ ফুট সিংহ শয্যা গৌতম বুদ্ধ মূর্তি।
টেকনাফ :
টেকনাফ নামক এই ছোট শহর যা কক্সবাজার  থেকে  ৮০ কিমি  দূরে অবস্থিত । কক্সবাজার থেকে টেকনাফ এ যাওয়ার সময় একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হিসাবে সুন্দর রাস্তা পাশাপাশি নাফ নদী এবং বন পাহাড়ি রাস্তা । টেকনাফ বাংলাদেশ দক্ষিণতম বিন্দু এবং মায়ানমার সীমান্তে রয়েছে। এইটা বাংলাদেশের শেষ সীমানা।
দ্বীপ-প্লব:
সোনাদিয়া, মহেশখালী ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ  প্রত্যেক পরিদর্শকের জন্য অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
সেন্ট মার্টিন: 
সেন্টমারটিন/নারিকেল জিনজিরা দেখার উপযুক্ত সময় হচ্ছে শীতকাল । সে সময় পানির রঙ একদম ছবির মত নীল দেখায় । সেন্টমারটিন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ছোট্ট একটা দ্বীপ এখানে কেউরা গাছের নিচে বসে সমুদ্র দর্শন , নীল সমুদ্রে গোসল , সুন্দর সুন্দর রিসোর্টে রাত্রিযাপন ,ছেরাদ্বীপ ভ্রমণ ,ডাবের পানি সহ সামুদ্রিক মাছ সবই আপনার মনে গেঁথে নেবে। তবে এখানে অনেক আধুনিক সুযোগ সুবিধাই হয়ত আপনি পাবেন না । ২৪ ঘণ্টা ইলেক্ট্রেসিটি,এসি ,লিফট বা থাই/চাইনিস রেস্ট্যুরেন্ট সেখানে নেই । ইলেক্ট্রিসিটির ব্যাবস্থা কিছু সময়ের জন্য করা হয়ে থাকে জেনারেটরের মাধ্মে । তবে হ্যা ভালো মোবাইল নেটওয়ার্ক পাবেন সব খানেই ।
সেন্টমারটিনে ট্রলার/ শিপ অথবা স্পীড বোডে যেতে পারেন । ট্রলারে/স্পিড বোডে জন প্রতি ভারা পরবে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ।এবং এগুলো সারা বছর ধরে যাতায়াত করে ।( এডভেঞ্চার পছন্দ করলে আপনিও এভাবে যেতে পারেন ।)আর সিপে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভারা পরবে ৩৫০ থেকে শুরু করে ৪/৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ।কক্সবাজার সমুদ্র দেখে সেন্টমারটিন আসবার প্লান করছেন তারা কক্সবাজার থেকে টেকনাফ স্পেশাল বাসে চলে আসবেন ভারা ১২০ টাকা ।৩ ঘণ্টা লাগে যেতে। আর টেকনাফ থেকে কেয়ারি ঘাট ও খুব বেশী দূরে না মূলত টেকনাফ যাবার আগেই পথে কেয়ারী ঘাট । যারা রেল-বাস-সিপ এবং ট্রালার একসাথে ভ্রমণ করতে চাইছেন তারা রাতের ট্রেনে চিটাগং এরপর বাসে কক্সবাজার হয়ে টেকনাফ এসে সিপে সেন্টমারটিন এবং ট্রলারে ছেরাদ্বিপ পরিদর্শন করে আসতে পারেন ।
কিভাবে যাবেন:
কক্সবাজারের সরাসরি গাড়ী চলে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে। যেমন, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রংপুর ইত্যাদী। ঢাকা থেকে নন এসি গাড়ী আছে অনেকগুলো। শ্যামলী, টিআর, হানিফ, ইউনিক, এস আলম, সৈাদিয়া, ইত্যাদী। ভাড়া পড়বে ৮০০ টাকা। আর যদি এসি তে যান আছে গ্রীন লাইন, ‍সৈাদিয়া, দেশ ট্রাভেলস, টিআর, সোহাগ ইত্যাদী। ভাড়া পড়বে ১৬০০(ইকোনমি ক্লাস)-থেকে ২০০০ টাকা (বিজনেস ক্লাস)। সময় লাগতে পারে ১২-১৪ ঘন্টার মত। এছাড়া সেন্টমার্টিন পরিবহন বলে একটি সার্ভিস চালু আছে যেটা চলে টেকনাফ পর্যন্ত। নন এসির ক্ষেত্রে ইউনিক এবং শ্যামলীর সার্ভিস ভালো এবং এসির ক্ষেত্রে দেশ এবং টিআর ট্রাভেলসের সার্ভিস ভালো।

এছাড়া বিমানেও যেতে পারবেন। রিটার্ণ ভাড়া ৮,০০০ থেকে শুরু করে ১২,০০০ টাকা । ইউএস বাংলা, নোভো এয়ার, বাংলাদেশ বিমান যায় কক্স বাজার। ইউনাইটেড এয়ারের অবস্থা ভালোনা, এতে ভ্রমণ না করায় শ্রেয়। কম খরচে যেতে চাইলে বিমান সবচেয়ে ভালো মাধ্যম, কিন্তু টিকেট কিনতে হবে আগে।

অনেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম যেয়ে তারপর সেখান থেকে কক্স বাজার যেতে চান। সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে তূর্ণা-নিশীথা, সুবর্ন এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী, চট্রগ্রাম মেইলে চট্টগ্রাম আসতে হবে। চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের উল্টা পাশেই বিআরটিসির কাউন্টার থেকে বিআরটিসির বাসে যেতে পারেন কক্সবাজার।

Tags: cox-bazar, himcori, inani
AmaderBangladesh
Previous post মহাস্থানগড় ও তার ইতিহাস

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

About

আমাদের সোনার বাংলাদেশ এবং তার বৈচিত্র্যমই সৌন্দর্যের কিছু প্রকাশ।

Recent Posts

  • পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার
  • মহাস্থানগড় ও তার ইতিহাস
  • সাগর কন্যা কুয়াকাটা
  • প্রকৃতি কন্যা জাফলং

Tags

cox-bazar himcori inani jaflong kuakata sylhet কুয়াকাটা বগুড়া মহাস্থানগড় সাগর কন্যা

Social Links

Facebook
Twitter
Google+
YouTube
Flickr
Instagram
Pinterest
Copyright © 2016 আমাদের বাংলাদেশ. Powered by Green Soldier.